শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে ঢেঁড়স চাষে লালমনিরহাটে বাংলা নববর্ষ উদযাপন-১৪৩২ উপলক্ষে ৪দিনব্যাপী কর্মসূচি যাঁদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে আওয়ামী লীগ তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে-লালমনিরহাটে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটের জজকোর্টের বিভিন্ন পদে নিয়োগ বাতিলের দাবীতে- সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার লালমনিরহাটে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সক্রিয় সদস্য ২জন গ্রেফতার লালমনিরহাটে তামাক চাষীদের নানা রকমের হয়রানি, মূল্য বৈষম্য, সিন্ডিকেটের প্রতিবাদে তামাক চাষী সমাবেশ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সুপারির চাষ বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে! লালমনিরহাটে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, শতাধিক ঘর-বাড়ি লণ্ডভণ্ড লালমনিরহাটে হত্যা মামলার আসামী পৌর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান রাশেদকে গ্রেফতার
লালমনিরহাটে দেবত্ব লাভের কিংবদন্তী বিজড়িত দীঘি সিন্দুর মতির পাড়ে মেলা অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে দেবত্ব লাভের কিংবদন্তী বিজড়িত দীঘি সিন্দুর মতির পাড়ে মেলা অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেবত্ব লাভের কিংবদন্তী বিজড়িত দীঘি সিন্দুর মতি পাড়ে বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রোববার (৬ এপ্রিল) চৈত্র মাসের রাম-নবমীতে লালমনিরহাটের সিন্দুর মতির পূজা উপলক্ষ্যে এখনও দীঘির পাড়ে বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এটি লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সিন্দুর মতি মৌজায় অবস্থিত দেবত্ব লাভের কিংবদন্তী বিজড়িত দীঘি সিন্দুর মতি।

 

খ্রিস্টপূর্ব সময়ে শ্রীলংকা (সিংহল দ্বীপ) থেকে রাজ নারায়ণ চক্রবর্তী নামে জনৈক নিঃসন্তান ব্রাহ্মণ জমিদার সন্তান লাভের আশায় স্বস্ত্রীক তীর্থ স্থান ভ্রমণে বেড়িয়ে নৌপথে এখানকার দেউল সাগর মন্দিরে এসে পৌছে ছিলেন। রাজ নারায়ণ চত্রবর্তী এবং তাঁর ধার্মিক স্ত্রী শ্রীমতি মেনেকা দেবী এখানে নতুন আবাসস্থল গড়ে তুলেন। প্রতিষ্ঠিত হয় রাজ নারায়ণ চক্রবর্তীর জমিদারীত্ব।

 

এদিকে শ্রীমতি মেনেকা দেবীর গর্ভ থেকে জন্ম নেয় অপরুপা দু’কন্যা নাম রাখেন- সিন্দুর ও মতি। জমিদারের সুখী সমৃদ্ধ রাজ্য আকস্মিক ভাবে দেখা দেয় তীব্র খরা।

 

এমতবস্থায়, জমিদার প্রজাদের জলকষ্ট নিবারণের জন্য জরুরী ভিত্তিতে একটি বিশাল দীঘি খনন করেন কিন্তু জলের কোন সন্ধান মিলেনা। চিন্তিত জমিদার এক রাতে স্বপ্নাদেশে জানতে পারেন যে, তাঁর দু’কন্যা দীঘির মাঝখানে যথারীতি উপাচার সহ ভগবানের পূজা করলে তবেই জল আসভে। জমিদার রাম-নবমীর দিনে পূজার আয়োজন করেন। কিন্তু সামান্যতমও জল উঠল না। হটাৎ জমিদারের মনে পড়ে যায় যে, ভুল বশতঃ তুলসী পাতা আনা হয়নি। সিন্দুর ও মতিকে দীঘির তলদেশে রেখে তুলসী পাতা আনতে তিনি ছুটে যান পুষ্প কাননে। সহসা দীঘির তলদেশ ভেদ করে বিকট শব্দে তীব্র বেগে জলরাশি বেড় হয়ে নিমিষেই দীঘি জলে পূর্ণ হয়ে যায়। পূজার চালুনী-বাতি ও নৈবেদ্য সহ বলিকৃত পাঠা জলের উপর ভেসে উঠে। ঢাক-ঢোল বাদকরা কোন রকমে সাতরিয়ে ডাঙ্গায় উঠে আসে, কিন্তু সিন্দুর ও মতি থেকে যায় দীঘির তলদেশে। ঘটনার পর অষ্টস দিনে সূর্যোদয়ের পূর্বে জমিদার ও স্ত্রী মেনেকা দেবীকে তাঁদের দু’কন্যা নিজ নিজ শাড়ির আচল এবং কনিষ্ঠাঙ্গুলী দীঘির জলের উপর তুলে দেখিয়েছিলেন। এ সময় তাঁরা দেবত্ব প্রাপ্ত দু’কন্যা সিন্দুর ও মতির সাথে কথাও বলেছিলেন মর্মে কথিত আছে। মানবী থেকে দেবীর আসনে অধিষ্ঠিত এ দু’কন্যার নামানুসারে দীঘি সহ এলাকাটির নাম হয়েছে- সিন্দুর মতি।

 

প্রতি বছর চৈত্র মাসের রাম-নবমীতে সিন্দুর মতির পূজা উপলক্ষ্যে এখনও দীঘির পাড়ে বিরাট মেলা বসে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone